ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করিমগঞ্জে সেবাপ্রত্যাশী নারীকে মারধরের অভিযোগ নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

প্রতিবেদক
-
জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে সেবাপ্রত্যাশী এক নারীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী নারী।

বুধবার দুপুরে উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের চামটাঘাট উত্তরপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঐ ইউপি সদস্য।

অভিযুক্ত আলপিনা আক্তার ৫ নং সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ও চামটাঘাট এলাকার জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। নির্যাতনের শিকার মার্জিয়া আক্তার (৩৫) একই এলাকার উত্তরপাড়া এলাকার আরজু মিয়ার মেয়ে।

মার্জিয়া আক্তারের অভিযোগ, ছোট বোন সালমা অসুস্থ থাকায় তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ইউপি মেম্বার আলপিনার কাছে গিয়েছিলেন টিসিবি কার্ডের বিষয়ে কথা বলতে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখেই আলপিনা রাগান্বিত হয়ে উঠেন এবং বলেন, তোরা তো আমাকে ভোট দেসনি। আবার আমার কাছে তোদের কী প্রয়োজন? এ কথা বলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তাকে চর-থাপ্পড় মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন।

মার্জিয়ার ছোট ভাই আবদুল কাইয়ুম বলেন, আমরা জানি জনপ্রতিনিধিরা মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু এ কেমন জনপ্রতিনিধি, যিনি সেবাপ্রত্যাশীদের গায়ে হাত তুলেন? এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, করোনাকালেও টিকা কার্ডের নামে তিনি অনেকের কাছ থেকে পঞ্চাশ টাকা করে নিয়েছেন। এছাড়াও যারা তার পক্ষে নির্বাচন করেনি বা ভোট দেয়নি, তাদের সাথে সবসময়ই খারাপ আচরণ করে থাকেন।

তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলপিনা আক্তার সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। বরং তাকে মারধর করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।

৫নং সুতারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি মোবাইল ফোনে জেনেছি। এলাকায় গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু জানান, এ বিষয়ে একজন নারী এসে মৌখিকভাবে বিষযটি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য করুন