নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেসবুক পেজ প্রাণের বত্রিশ, কিশোরগঞ্জ এর সক্রিয় সদস্য শিখা মজুমদার। থাকেন ময়মনসিংহে। পেইজের আমন্ত্রণে স্বামী-সন্তানসহ এসেছেন। মিলন মেলায় এসে আবেগে আপ্লুত তিনি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর দেখা হয়েছে বান্ধবী মাহমুদা বেগম শেলীর সঙ্গে। হাইস্কুল ও কলেজ জীবনের বেশ কয়েকজন বান্ধবীকে পেয়েছেন মিলন মেলায়। কথোপকথনে ফিরে যান তারা অতীতের সোনালী দিনগুলোতে।
প্রাণের বত্রিশ, কিশোরগঞ্জ পেইজের “বত্রিশের কথা” অনুষ্ঠানটির শততম পর্ব পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার মিলন মেলার আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ নেহাল গ্রীণ পার্কে।
মিলন মেলার ‘প্রাণ ভোমরা’ খ্যাত প্রাণের বত্রিশ পেইজের ক্রিয়েটর এডমিন মুক্তা লোহ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সকলকে মাতিয়ে রাখেন। সহযোগিতায় ছিলেন পেইজটির এডমিন উৎপল লোহ, জাহিদুল ইসলাম রুবেল ও গ্রুপের অন্যতম সদস্য হামীম নুফা।
ছন্দ ছড়ায় অনুষ্ঠানে প্রাণ সঞ্চার করেন বিশিষ্ট ছড়াকার হারুন আল রশীদ। জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার আলম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঊষা রাণী দেবী, বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা আতাউর রহমান খান মিলন, নটরাজ রায়, দেবরাজ রায়, আবু হাসান বাবুল, সাংবাদিক সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, সঙ্গীত শিল্পী প্রবাল মজুমদার, প্রজন্ম ৭১ এর সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান ভূইয়া রিপন, হোমিও চিকিৎসক দীন ইসলাম প্রমুখ।
দুপুরে খাবার পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় দুটি আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা। পুরুষদের জন্য বালতিতে বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় প্রথম হন হারুন আল রশীদ, দ্বিতীয় দেবরাজ রায় ও তৃতীয় হন নিবিড় দে। মহিলাদের জন্য মিউজিক্যাল চেয়ার খেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেন মাহমুদা বেগম শেলী, দ্বিতীয় শিখা মজুমদার ও তৃতীয় হন মনা চৌধুরী।
প্রতিযোগিতা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্পী, কলাকুশলীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত মাতিয়ে রাখেন দর্শক শ্রোতাদের। “শেষ হয়েও হলোনা শেষ”-এমন আক্ষেপ নিয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন সদস্যরা।
কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রাণের বত্রিশ পেইজটির শতাধিক সদস্য মিলন মেলায় অংশ নেন।