নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে চুরির অভিযোগে প্রাইভেটকার ও লক্ষাধিক টাকাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম।
গ্রেফতার সুমন মিয়া (৪০) জেলার বাজিতপুর উপজেলার নবুরিয়া গ্রামের মৃত গোলাম মোহাম্মদের ছেলে ও মো. সোহাগ মিয়া (৪০) কিশোরগঞ্জ শহরের বয়লা এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূরে আলম জানান, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সদর উপজেলার বড়পুল এলাকা থেকে প্রথমে সুমন মিয়াকে সাদা রঙের প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে শহরের একরামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সোহাগ মিয়াকে। তাদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, সাধারণ মানুষের মতো ঘুরাফেরা করেই প্রাইভেটকারের নম্বরপ্লেট বদলে তারা বিভিন্ন জায়গায় দিনদুপুরে চুরি করে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিভিন্ন মালামাল চুরি করে তারা ভৈরব বাজারে হাটের দিন কম দামে ফুটপাতে বিক্রি করতো। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা বাজারের মাইশা ক্লথ স্টোর এন্ড পর্দা গ্যালারী থেকে ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৪০ টাকার কাপড় চুরি হয়।
ঘটনার পর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি কটিয়াদী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দোকান মালিক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুম। মামলার তদন্তভার পরে গচিহাটা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. সফর আলীর ওপর। তিনি মামলাটি তদন্ত করে সুরাহা করতে না পারায় জেলা গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক হাসমত আলীর ওপর ২৫ জানুয়ারি তদন্তভার ন্যস্ত হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে উপপরিদর্শক হাসমত আলী তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাদা রঙের প্রাইভেটকারসহ তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে মালামাল বিক্রির নগদ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুর রহমান, উপপরিদর্শক হাসমত আলী প্রমুখ।