সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন: আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এদিন সকালে মিঠামইন সদরে বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন তিনি। আর দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে মেহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে দুপুরের খাবার গ্রহণ করবেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সফর সঙ্গীদেরকে হাওরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে। পরে বিশ্রাম শেষে বিকেলে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিবেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমপি তৌফিক জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে আসবেন। এর একদিন আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি মিঠামইনে চলে আসবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে মিঠামইন সদরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে তার পৈত্রিক বাড়ি মিঠামইন সদরের কামালপুর গ্রামে মেহমান হবেন তিনি। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করা হবে হাওরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অষ্টগ্রামের পনির অনেক পছন্দ করেন। অষ্টগ্রামের এই পনির মাঝে-মধ্যেই গণভবনে পাঠানো হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সাথেও অষ্টগ্রামে বিখ্যাত পনির দিয়ে দিতে চান বলেও জানান তৌফিক। মিঠামইনের পাশের উপজেলা হলো অষ্টগ্রাম।
রাষ্ট্রপতিপুত্র এমপি তৌফিক আরও জানান, মিঠামইনে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। রবিবারের মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই হাওরবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিনি বলেন, হাওরের মানুষ যারা জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় কাজ-কর্ম করেন ইতোমধ্যে তারাও বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। তার বিশ্বাস ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে এই সমাবেশে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোন দাবি উত্থাপন করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের হাওরবাসীর আর কোনো চাওয়া বা দাবি নেই। হাওরের উন্নয়নে তিনি সব করে দিয়েছেন। তিনি যা করে দিয়েছেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেই শেষ করতে পারবো না। আজীবন কৃতজ্ঞতা স্বীকার করবে হাওরবাসী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাওরে আসছেন এটাই আমাদের বড় পাওয়া।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর মিঠামইন সফরকে কেন্দ্র করে জেলার ১৩ উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওরে। প্রতিদিন পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক ও আনন্দ মিছিল করছেন তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর মিঠামইনে প্রথমবার এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর আবারও মিঠামইন সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।