আদালত প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ১৪ টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সভাপতিসহ ১০ টি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৪ টি পদে জয়লাভ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত প্রার্থীরা।
সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত মো. সহিদুল আলম শহীদ। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত আমিনুল ইসলাম রতন।
জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সোমবার সকাল ১০ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে, চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। গণনা শেষে রাত সোয়া ১১ টার দিকে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে ১৪ টি পদে ২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সভাপতি পদে তিনজন, সহ সভাপতির দুটি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন, সহ সাধারণ সম্পাদকের দুটি পদে চারজন, লাইব্রেরি সম্পাদকের একটি পদে দুজন, সাংস্কৃতিক সম্পাদকের একটি পদে দুজন, অডিটরের একটি পদে একজন এবং পাঁচটি সদস্য পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
সভাপতি পদে বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত মো. সহিদুল আলম শহীদ পেয়েছেন ৩২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত জালাল মো. গাউস পেয়েছেন ১৮৮ ভোট। সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ভূঞা পেয়েছেন ১৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত আমিনুল ইসলাম রতন পেয়েছেন ৩০০ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত এ এফ এম বজলে কাদের মুকুল পেয়েছেন ২৩৬ ভোট। সহ সভাপতির দুটি পদেই জয়লাভ করেছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত দুজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে মুফতি মো. জাকির খান পেয়েছেন ভোট ৩০২ ভোট ও মো. নবী হোসেন পেয়েছেন ৩০০ ভোট। সহ সাধারণ সম্পাদকের দুটি পদের মধ্যে প্রথম বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মো. জসিম উদ্দিন রুবেল পেয়েছেন ৩০৭ ভোট এবং দ্বিতীয় বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সাইদুর রহমান সরকার রাসেল পেয়েছেন ২১৬ ভোট। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত মোহাম্মদ আবু সাঈম পেয়েছেন ৩২৫ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত রায়হান মিয়া পেয়েছেন ১৯০ ভোট। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত সাইফুল ইসলাম আহমেদ পলাশ পেয়েছেন ২৮৯ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত এ. এম ছাজ্জাদুল হক পেয়েছেন ২৪৪ ভোট। অডিটর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত আবু সাদাত মো. সায়েম। পাঁচটি সদস্য পদের মধ্যে প্রথম বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত জাকির হোসেন অভি পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট, একই প্যানেল থেকে দ্বিতীয় বিজয়ী শাহরিয়ার কবির দিপু পেয়েছেন ৩৪১ ভোট, তৃতীয় বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত শাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ৩৪০ ভোট, চতুর্থ বিজয়ী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত মো. আল-আমীন (করিমগঞ্জ) পেয়েছেন ৩২৮ ভোট এবং পঞ্চম বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল বোখারী পেয়েছেন ৩২১ ভোট।
নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট শেখ ফারুক আহম্মদ জানান, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রদান করেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮১ জন ভোটারের মধ্যে ৫৪২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
পাঁচজন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পরিচালনা করেন। তারা হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট এস. এম মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট এ.বি.এম লুৎফর রশিদ রানা, এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বাবু, এডভোকেট শেখ ফারুক আহম্মদ ও এডভোকেট মো. সানোয়ার হোসেন রুবেল।