নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব থেকে একটি আধুনিক মাইক্রোটম মেশিন
উধাও হয়ে গেছে। সম্প্রতি অডিট টিমের পরিদর্শনে বিষয়টি সামনে এলে এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কে বা কারা এই যন্ত্রটি সরিয়ে ফেলেছে, তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা।
অডিট টিমের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, হাসপাতালের ল্যাবে একটি মাইক্রোটম মেশিন ছিল। কিন্তু এখন আর সেটি নেই।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র আশরাফ আলী সোহান বলেন, হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনের বাইরে অনেক যন্ত্রপাতি কিনেছিল। যন্ত্রের মান খারাপ থাকায় তৎকালীন স্টোরকিপারও সেগুলো বুঝে নেয়নি। এখন মেশিন উধাও হওয়ার ঘটনায় স্পষ্ট দুর্নীতি রয়েছে। দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমান ল্যাব ইনচার্জ তানভীর আহমেদ দাবি করেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় যে যন্ত্রগুলো বুঝে পেয়েছি, সেগুলোই এখন ল্যাবে আছে। মাইক্রোটম মেশিনটি আমার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
তবে এই প্রতিবেদকের হাতে আসা গত ২৫ জুলাইয়ের একটি ভিডিও ফুটেজে মেশিনটি ল্যাবে দেখা গেছে এবং সে সময় ল্যাব ইনচার্জও উপস্থিত ছিলেন।
বায়োমেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. আমান উল্লাহ জানান, মেশিনটা আমি নিজেই বাক্স থেকে বের করে ল্যাবে রেখেছিলাম। এখন সেটা নেই, এটা রহস্যজনক। প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।
স্টোর ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, প্যাথলজি বিভাগ চালুর সময় কিছু মেশিন প্রজেক্ট থেকে সরাসরি দেওয়া হয়েছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় মাইক্রোটম মেশিন পাইনি। অডিট টিমের মাধ্যমেই বিষয়টি জেনেছি।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, যদি মেশিন বুঝিয়ে দেওয়া না হয়ে থাকে, তাহলে সেটি ল্যাবে গেল কীভাবে?শুভেচ্ছা
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অডিট টিম জানিয়েছে, একটি মাইক্রোটম মেশিন থাকার কথা থাকলেও এখন সেটি পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, প্রয়োজনের বাইরে যন্ত্রপাতি কেনা হয়ে থাকলে সে বিষয়েও অডিট টিম আলাদা প্রতিবেদন দাখিল করবে।
ল্যাব ইনচার্জ তানভীর আহমেদ বলেন, মাইক্রোটম মেশিনের মূল কাজ হলো স্ট্যারাইলড করা, অর্থাৎ কোনো নমুনাকে অত্যন্ত পাতলা করে কাটা। যাতে এগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করা যায়।
