ঢাকাSaturday , 2 April 2022
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“মরার পর আমার আর ঘরের দরকার নেই”

প্রতিবেদক
-
April 2, 2022 3:12 pm
Link Copied!

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: দুবেলা ঠিকমতো জুটে না অন্ন, নেই কাজ। কোনমতে খেয়ে না খেয়ে যেখানে জীবন চলছে, সেখানে ঘর বানানোর সাধ্য কোথায়? বিধবা মনোয়ারা খাতুন জরাজীর্ণ নড়বড়ে কুঁড়ে ঘরে এভাবেই ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন। কয়েকটি পুরানো ঢেউটিন দিয়ে ছাপড়া ঘর বেঁধে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারটি দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভাধীন ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ধুলজুরী এলাকার মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন।

এক আত্নীয়ের কাছ থেকে মৌখিকভাবে প্রাপ্ত দুইশতক জমির ওপর একটি ছাপড়া ঘর বেঁধে বছরের পর বছর বসবাস করছে পাঁচ সদস্যের পরিবারটি।

ফুট লম্বা ফুট প্রশস্ত ভাঙ্গা জরাজীর্ণ ঘরটিতে নেই শোয়ার বালিশ, নেই কোন আসবাবপত্র। ঝড় বৃষ্টি হলেই অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় তাদের। নেই স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট। বাধ্য হয়ে খোলা টয়লেটে মলমূত্র ত্যাগ করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদেরকে।

বিধবা মনোয়ারা খাতুনের বড় ছেলে শাবুল মিয়া ঘরের অভাবে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। ছোট ছেলে মাটি কাটা শ্রমিক বিপুল মিয়া স্ত্রী শিশুপুত্র নিয়ে মায়ের সাথেই জরাজীর্ণ ঘরে থাকছেন। আর্থিক  দৈন্যতার জন্য ঘর বাঁধার সামর্থ নেই বিধবা মনোয়ারার। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অবুঝ শিশু কাউছার মিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন দাদী মনোয়ারা।

মনোয়ারা জানান, ভোটের সময় অনেক সাহেবরা আমার ভাঙ্গা ঘর দেখে মেরামত করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের পর কেউ খোঁজ নেয় না। আক্ষেপ করে বলেন, মৃত্যুর পর আমার আর ঘরের দরকার নেই।

প্রতিবেশী শামসুল ইসলাম জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগে কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে এমন জরাজীর্ণ ঘর আছে বলে আমার জানা নেই। মানবিক কারণে এই অসহায় পরিবারের জন্য সরকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

জানতে চাইলে পৌরসভার কাউন্সিলর মুহাম্মদ মিছবাহ উদ্দিন মানিক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে অসহায় মনোয়ারা খাতুনকে ঘর বরাদ্দের চেষ্টা করা হবে।

অসহায় পরিবারটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন।

আপনার মন্তব্য করুন