নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু লাবিব ওরফে রাব্বিকে ঘাড় মটকে এবং নাকে ও মুখে মাটি ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারা।
নিহত রাব্বি নিকলী উপজেলার কুর্শা মাইজপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতার দুজন হলেন নিহত রাব্বির ফুফা দিদারুল ইসলাম পায়েল (৩৩) ও তার সহযোগী আব্দুল কাইয়ুম ওরফে তনয় খান (১৯)। পায়েল নিকলী উপজেলার ছাতিরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলী ওরফে বছিরের ছেলে এবং তনয় কুর্শা মাইজহাটি গ্রামের জমশেদ খানের ছেলে।
আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার)।
পুলিশ সুপার জানান, দিদার এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে দিদারের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে রাব্বির পিতা আমির হোসেনের সঙ্গে দিদারের মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আমির হোসেনকে উচিত শিক্ষা দিতেই তার ছেলে রাব্বিকে হত্যার পরিকল্পনা করে দিদার। সে অনুযায়ী দিদার তার সহযোগী তনয়কে নিয়ে গত ১৯ মে সন্ধ্যা পৌনে ৭ থেকে ২০ মে দুপুর ২ টার মধ্যে কোন এক সময় রাব্বিকে হত্যা করে। পরে কুর্শা মাইজপাড়া গ্রামের তুহিনের পরিত্যক্ত একচালা ছাপড়া ঘরের চৌকির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় রাব্বির পিতা আমির হোসেন বাদী হয়ে গত ২০ মে অজ্ঞাতনামা আসমিদের বিরুদ্ধে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গত মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত পৌনে ১০ টার দিকে নিকলী উপজেলার রসুলপুর বাজার থেকে দিদার ও তনয়কে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত রাব্বির একটি খেলনা গাড়ি ও একটি ক্রিকেট বল উদ্ধার করে। আসামিদেরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
প্রেসব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ((ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আল আমিন হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার, নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান উপস্থিত ছিলেন।