হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একটি বাড়ি থেকে ডা. আরিফুল ইসলাম (২৯) নামে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ডা. আরিফুল ইসলাম জেলার মিঠামইন উপজেলা সদরের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
আরিফুলের পিতা রফিকুল ইসলাম জানান, তার ছেলে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা রাঙামাটিতে কিছুদিন চাকরি করেন। পরে সেখান থেকে ফিরে বছরখানেক আগে স্বামী–স্ত্রী মিলে হোসেনপুর পৌরসভার ঢেকিয়া এলাকায় মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন। তারা ক্লিনিকের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তিনি আরও জানান, ক্লিনিক চালু করার সময় থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় এবং স্বামীর বাড়ির লোকজনকে সহ্য করতে পারতেননা ডা. শাহিন সুলতানা মীরা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো। শনিবার রাত পৌনে ২ টার দিকে থানা থেকে ফোনে জানানো হয় আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ তার। এ বিষয়ে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের বিশেষ কোন চিহ্ন না থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কির সময় নখের খামচার দাগ রয়েছে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিনি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ওসির ধারণা।