নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ইটনায় দেশিয় অস্ত্রসহ ছয় নৌডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ইটনা উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের ধনু নদীর কুলিরভিটার কাশবন সংলগ্ন হাওর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ছয়জন হলেন ইটনা উপজেলার এলংজুরী সোনাকান্দা গ্রামের শামছুল মিয়ার ছেলে তাইজুল ইসলাম (২৭), মর্দাপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে পলাশ মিয়া (৩৫), এলংজুরী মনসন্তোষপাড়া গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নাজিম উদ্দিন (৪৫), মিঠামইন উপজেলার সোনাপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া (৩৮), অলুয়া গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (৪১) ও মহিষারকান্দি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে নূর আলম (৩০)।
তাদের কাছ থেকে ইঞ্জিনচালিত একটি কাঠের নৌকা, ১২ ইঞ্চি লম্বা একটি চাপাতি, ৩১ ইঞ্চি লম্বা একটি রাম দা, ২২ ইঞ্চি লম্বা একটি দা, দুটি এস এস পাইপ, তিনটি হাঁসুয়া, একটি টর্চলাইট, একটি বাঁশের লাঠি, একটি রশি, একটি প্লাস্টিকের বস্তা, একটি সাইড ব্যাগ, একটি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ ১১ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি এলাকার এস. এম আমানত ওরফে আমানসহ ৯ ব্যক্তি একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে জয়সিদ্ধি বাজার নৌকাঘাট থেকে চামটাঘাট যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি বড়িবাড়ি ইউনিয়নের ধনু নদীতে কাটাখাল নামক স্থানে আসলে ডাকাতদলের কবলে পড়ে। অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন ডাকাত দুটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে গিয়ে যাত্রীদের বহনকারী মাঝিকে পিছন দিক দিয়ে আঘাত করে ট্রলারটি থামাতে বলে। মাঝি ট্রলারটি থামানোর পর ডাকাতরা রাম দা, কিরিচ, লোহার রড, বল্লম, চাপাতি, হাঁসুয়া, কুড়াল ইত্যাদি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তারা যাত্রীদেরকে মারপিট করে নগদ ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে এস. এম আমানত ওরফে আমান বাদী হয়ে গত বুধবার ইটনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।