আদালত প্রতিবেদক: পুলিশের ওপর হামলার মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া ও যুবদল কর্মী তরিক মোমেনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার ১২ জন আসামি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ আদেশ দেন।
মামলায় হাজির হওয়া ১০জনকে জামিন প্রদান করেন আদালত। তারা হলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম ও আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান ভূইয়া ওরফে আলো, আলামিন ভূইয়া, শওকত হোসেন ও ছাত্রদল কর্মী শাহরিয়ার মুসা তানহা।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক আইনজীবী আসামিপক্ষে জামিনের শুনানিতে অংশ নেন।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহ সভাপতি রুহুল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়াসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে শহরের ঈশাখাঁ সড়কে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পদযাত্রা কর্মসূচি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে রথখলা মাঠে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রথখলা মাঠে না গিয়ে গৌরাঙ্গ বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১০ পুলিশ এবং বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানার এসআই ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ১৯ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।