নিজস্ব প্রতিবেদক: সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুর করার প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন কিশোরগঞ্জের সাবেক ছাত্র নেতারা। সোমবার বিকাল ৫টা থেকে পৌনে ৭টা পর্যন্ত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, ছাত্র লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, যুবলীগ নেতা এডভোকেট মাহবুবুর রশিদ স্বরমিন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা আবু তালেব আকন্দ, কামরুজ্জামান ককেস, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের শিবলী, জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়ন, সাবেক ছাত্র নেতা কাজী আবেদীন সোলায়মান, মাহাদী হাসান তুষার, আশেক মাহমুদ রনি, শাহজাহান কবির হিমেল, করিমগঞ্জ উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সিরাজী প্রমুখ।
সভায় সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার অর্জনগুলোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। তার স্বপ্নের নরসুন্দা প্রকল্পের জায়গা দখল করা হচ্ছে। সাংবাদিক নামধারী সংগঠনের ব্যানারে নদীর জায়গা দখল করা হলেও প্রশাসন নিরব বলে তিনি অভিযোগ করেন। অন্যদিকে সৈয়দ আশরাফের গড়া সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫২ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীকে করোনা মহামারিতে ছাটাই করে টাকার বিনিময়ে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ পরিচালনায় জড়িতরা প্রাইভেট ক্লিনিকের মালিক। তাদের কারণে সাধারণ রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ম্যুরাল ভাঙার বিষয়ে তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, কেন ম্যুরালটি অরক্ষিত রাখা হল? ম্যুরাল ভাঙায় একজন নেশাখোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে সৈয়দ টিটু বলেন, নেশাখোর টাকার জন্য ছিনতাই করবে, ম্যুরাল ভাঙবে কেন? এ বিষয়টা সতর্কতার সাথে তদন্ত করার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাহমুদ হাসান বাপ্পী।