নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে দুদকের গণশুনানিতে ২৩টি দপ্তরের ২৩০টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। রবিবার (২৯ অক্টোবর) জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী গণশুনানির আয়োজন করে।
গণশুনানিতে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার সেবা প্রত্যাশীরা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন। তাদের অভিযোগসমূহ দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্তকর্তারা শুনেন এবং কিছু অভিযোগের সমস্যা সমাধান করার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তীতে কমিশন কর্তৃক যাচাই বাছাই সাপেক্ষে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। এছাড়া তদন্তে কোন অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা প্রদান করেন।
গণশুনানিতে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডেকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ, জেলা/সাব রেজিস্ট্রিারের কার্যালয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর, জেলা সমবায় অফিস, উপজেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জেলা শিক্ষা অফিস, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ইসলামি ফাউন্ডেশন, উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং ব্যাংকসহ মোট ২৩টি দপ্তরের ২৩০টি অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। কিছু অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় এবং একই বিষয়ে একাধিক অভিযোগ থাকায় প্রাপ্ত অভিযোগ হতে ৮০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনানির জন্য সেবাপ্রার্থীরা সরাসরি উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সুপারিশসহ অভিযোগসমূহের তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশিত কর্মদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের সমাধান নিশ্চিত করে দুদক কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ চৌধুরী ।
গণশুনানিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।