নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মূলগাঁও গ্রামের মতিউর রহমান ওরফে মতি মেম্বার (৬২) হত্যামামলার আসামি জিলানীকে (৩২) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার শেরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের একটি দল। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার সাতপাকের ভিটা গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, গত ১৯ নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে মতি মেম্বার প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও তিনি ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করতে থাকেন। পরদিন সকাল ৭টার দিকে মতি মেম্বারের ছেলে বাবুল মিয়া মোবাইল ফোনে জানতে পারেন যে, কে বা কারা তার পিতাকে হত্যা করে মরদেহ কলমাকান্দা উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের জনৈক লালচানের জমিতে ফেলে রেখেছে। এ সংবাদ পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পান। পরদিন নিহতের স্ত্রী আয়শা খাতুন বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির জানান, উক্ত মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করতে র্যাব-১৪ ছায়া তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। হত্যাকাণ্ডের আগে মতি মেম্বারের কিছুদিনের চলাফেরা এবং তার কথোপকথন পর্যালোচনা করে এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে জিলানীকে চিহ্নিত করে র্যাব। তাছাড়া ঘটনার দিন থেকে জিলানী পলাতক থাকায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তাকে গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব। প্রথমে গাজীপুরে কিছুদিন আত্মগোপনে থাকেন তিনি। সেখান থেকে নান্দাইলের শেরপুরে চলে আসার পর সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
উল্লেখ্য, এ মামলার অপর আসামি সাজু খান ইতোপূর্বে গ্রেফতার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তিতে মূল আসামি হিসেবে জিলানীর নাম উল্লেখ করেন তিনি। গ্রেফতারের পর জিলানীকে কলমাকান্দা থানায় হস্তান্তর করা হয়।