নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসায় আগুন দিয়ে দুজনকে পুড়িয়ে হত্যা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি, শহরের রথখলা এলাকার ব্যবসায়ী ও বত্রিশ এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মামলাটি দায়ের করেন।
গত ৪ আগস্ট সৈয়দ টিটুর বাসায় আগুন লাগিয়ে দুজনকে পুড়িয়ে হত্যা এবং শহরের স্টেশন রোডে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার এজাহারে ৮৮ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে যাদের নামোল্লেখ রয়েছে তারা হলেন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু হত্যামামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা পূর্ব পুরুড়া গ্রামের আব্দুল কাহার আকন্দ, সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনের সাবেক এমপি নাজমুল হাসান পাপন, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জ্যৈষ্ঠপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকু্ন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট সোহরাব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আফজাল হোসেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মসিউর রহমান হুমায়ুন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন, যুবলীগ নেতা কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার জুবায়েত খান নিয়াজ, শহরের গাইটাল এলাকার শফিকুল আলম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম মাসুদ, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল গণি ঢালী লিমন, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খান, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বছির উদ্দিন রিপন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র পারভেজ মিয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া বটতলা এলাকার মো. মাহফুজ, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেঝো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, শহরের চর শোলাকিয়া এলাকার সাইফুল ইসলাম অপু, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, শহরের হারুয়া ক্ল্যাসিক গলি এলাকার তৌফিক ও একই এলাকার তাজবির, নগুয়া বটতলা এলাকার সানা, চর শোলাকিয়া এলাকার আরিফুল ইসলাম দীপু, শহরের গৌরাঙ্গ বাজার এলাকার মোস্তফা জালাল নিলয়, শোলাকিয়া এলাকার শান্ত, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই রঘুনন্দনপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চর শোলাকিয়া এলাকার আব্দুল কাদির শিবলী, শোলাকিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম তুষার, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া গরুর হাট এলাকার প্রিয়, চর শোলাকিয়া বনানী মোড় এলাকার সানি, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ট্রাস্টি কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকার লিপন রায় লিপু, কিশোরগঞ্জ শহরের পুরানথানা এলাকার টিটুল, কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া বৌবাজার এলাকার মাফি, হারুয়া এলাকার আরিফুল ইসলাম সজিব, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকচুরী গ্রামের সফল বর্মণ, কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার সাতিল ও একই এলাকার দুর্জয়, কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাকাউদ্দিন আহম্মদ রাজন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রিফাত উদ্দিন আহম্মদ বচন, কিশোরগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি শরীফুল ইসলাম শরীফ, কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়াবাজার পিটিআই গলির জুবায়ের হোসেন রাজা ও একই এলাকার তানজিদ তানিম, নিউটাউন এলাকার শিপন মিয়া ও একই এলাকার সিদ্দিক মিয়া, কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের (বর্তমান ঠিকানা কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া) মাহফুজ মিয়া, কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া কানিকাটা এলাকার ফকরুজ্জামান, নিউটাউন এলাকার আরমান মিয়া, কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম, হারুয়া এলাকার মজিবুল ইসলাম আরিফ, কটিয়াদী উপজেলার পূর্ব গণেরগাও গ্রামের সিদ্দিক মিয়া, কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মাহফুজ মিয়া ও একই গ্রামের শিপন, কিশোরগঞ্জ শহরের নগুয়া এলাকার নাসা নাঈম, তারাপাশা এলাকার বাবুল মোল্লা, আখড়াবাজার পিটিআই গলির ওমর ফারুক, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকার ডিসকভার বাবু, কিশোরগঞ্জ শহরের নিউটাউন এলাকার নাসির আহমেদ পিয়াস, তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামের নজরুল হক, কিশোরগঞ্জ শহরের আলোরমেলা এলাকার বিবেকানন্দ রায়, বত্রিশ এলাকার বাবু ওরফে মাছুয়া বাবু, তাড়াইল উপজেলার মোকসেদপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ডুবাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম, তাড়াইল উপজেলার দড়িজাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মাহিছ দাদ খান নৌশাদ, একই উপজেলার ভাদেরা গ্রামের মেছবাহ উদ্দিন জুয়েল, কিশোরগঞ্জ শহরের বয়লা এলাকার ছোটন খান, করিমগঞ্জ উপজেলার হালগড়া এলাকার তাজুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ শহরের পুরানথানা এলাকার সুজন সুলতান, পশ্চিম তারাপাশা এলাকার পিয়াস ও একই এলাকার সানি, করিমগঞ্জ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বরাটি চরপাড়া গ্রামের এমদাদ মিয়া, কিশোরগঞ্জ শহরের বয়লা পুরানবাড়ি এলাকার পাভেল, বয়লা মড়লপাড়া এলাকার শরীফ মিয়া, সতাল এলাকার গোলাপ, বয়লা কারেন্টগলি এলাকার তৌফিকুল ইসলাম রাজিব, পশ্চিম তারাপাশা এলাকার হৃদয়, বয়লা এলাকার ইমরান, নিউটাউন এলাকার জজ মিয়া, বয়লা এলজিইডি মোড় এলাকার মাহদি ইসলাম অপু ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বগাদিয়া তালতলা এলাকার আব্দুল হান্নান।
এছাড়াও অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।