নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানীর নেতৃত্বে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণ সংযোগ ও প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। ক্লান্তিহীনভাবে ছুটে চলেছেন তিনি। বিভিন্ন বয়সী মানুষ আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে বুকে টেনে নিচ্ছেন। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। ধানের শীষ প্রতীকের এই গণসংযোগে সকলেই আওয়াজ তুলছেন “রাব্বানী ভাই ভালো লোক, মনোনয়ন তারই হোক।”
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সারাদিন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ও মাইজখাপন ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান রাব্বানী।
মহিনন্দন ইউনিয়নের কলাপাড়া মোড় থেকে শুরু করে অক্টোর মোড়, ক্ষিরোদা বাজার, জালালপুর বাজার, গালিমগাজী বাজার, কাশুরারচর বাজার, গাছ বাজার, মাদ্রাসা মোড়, গাঙ্গাইল বাজার এবং মাইজখাপন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাজার, নীলগঞ্জ বাজার ও আমিরগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করেন তিনি।
এর আগে বুধবার (৫ নভেম্বর) সদর উপজেলার রশিদাবাদ, লতিবাবাদ ও মাইজখাপন ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। রশিদাবাদ বিশ্বরোড (বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন) এলাকা থেকে শুরু করে যান লতিবপুর বাজারে। পরে শিমুলিয়া মাদ্রাসা মোড়, উলুহাটি মধ্য বাজার হয়ে যান ঠাডাপড়া বাজার। সেখান থেকে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, ইউএনডিপি মোড়, ভাটগাঁও মোড়, জাঙ্গালিয়ার মোড়, বড়ভাগ জয়নালের মোড় হয়ে যান সাদুল্লারচর বাজার। সেখান থেকে যান মাইজখাপন ইউনিয়নের সুন্দিরবন বাজার ও পাঁচধা বাজার। পরে যান কাটাবাড়িয়া বাজার, বড়পুল মোড়, সগড়া বিশ্বরোড, রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ মোড়, মাটিয়ার মোড়, জামতলা মোড় হয়ে সরকারি গোরস্তান মোড়ে গিয়ে শেষ করেন দিনের কর্মসূচি।
এছাড়া সোমবার (৩ নভেম্বর) সদর উপজেলার চৌদ্দশত ও মারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
মারিয়া ইউনিয়নের আমলিতলা, স্বল্প মারিয়া, চর মারিয়া, মিতালী মার্কেট, এসডিও মার্কেট, বিসিক শিল্প নগরী, তালতলা বাজার ও নতুন জেলখানা মোড়; চৌদ্দশত ইউনিয়নের চৌদ্দশত বাজার, নান্দলা বাজার ও পুলেরঘাট বাজার এবং বিন্নাটি ইউনিয়নের কালটিয়া বাজার ও বিন্নাটি চৌরাস্তা বাজারে গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশ নেন তিনি।
একটি প্রাইভেটকার এবং শতাধিক মোটর সাইকেলের বহরে কর্মী সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ চালান রাব্বানী। সকলের হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন ধানের শীষের শুভেচ্ছা ও পরিচিতিমূলক লিফলেট। যেখানেই যাচ্ছেন, সৃষ্টি হচ্ছে গণজোয়ার। স্থানীয় লোকজন তাকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছেন। সততা ও আদর্শের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে রাব্বানীকে অভিহিত করছেন সকলেই। তিনটি ইউনয়নে প্রচারণা শেষে রাত সাড়ে ১১ টায় বিশাল বহর নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তিনি। এ সময় “খালেদা জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন,” “তারেক জিয়ার সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন,” “রাব্বানী ভাই ভালো লোক, মনোনয়ন তারই হোক,” “রাব্বানী ভাইয়ের সালাম নিন, ধানের শীষে ভোট দিন” ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়।
যেসব এলাকায় যাচ্ছেন, সেখানকার প্রয়াত বিএনপি নেতাদের কবর জিয়ারত করছেন রাব্বানী।
শনিবার (৮ নভেম্বর) হোসেনপুর পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ১০ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই, যশোদল, কর্শাকড়িয়াইল ও দানাপাটুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি রয়েছে।
এ প্রতিবেদককে ভিপি ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী বলেন, কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর দুটি নামে একটি পরিবার। আমাদের আছে ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সম্প্রীতি। আছে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির ঋদ্যতা। আছে নদী, খাল, নালাসৃত কৃষজ শিল্প। উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানত অগ্রাধিকার বিবেচনাযোগ্য প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট শিক্ষার প্রসার; যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। এছাড়া স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা হবে। পিছিয়ে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে সারাদেশের সঙ্গে এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তাদের জীবনমান উন্নয়নে সবধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, এসবই হবে ১৯ দফা ও ৩১ দফায় দেশনেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং দিকনির্দেশনায়।
সকলের প্রতি অতীতের মতোই সহযোগিতা, সমর্থন, দোয়া ও আশীর্বাদ অব্যাহত রাখার অনুরোধ রেখে তিনিও সকলকে নিরন্তর সুভাশীষ জানান।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ধানের শীষ ও ভিপি ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানীর সমর্থনে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও প্রচারমিছিল চলমান রয়েছে। ছুটছেন তিনি গ্রামের পথে পথে, হাট-বাজারে। যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে গণজোয়ার।
