নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত তিন নেতা এক মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমে পৃথক পৃথক স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তিন নেতা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
আসনটিতে বিএনপি প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের মনেনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় শহরের স্টেশন রোডস্থ নিজ কার্যালয়ে সমাবেশ করেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু। একই সময় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সমাবেশ করেন মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
সমাবেশে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে তার মনোনয়নের পেছনে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমকে দায়ী করা হয়। শরীফুল আলমকে ষড়যন্ত্রকারী ও কালো টাকার মালিক হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন তারা। অবিলম্বে মনোনয়ন বাতিল করে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সমাবেশে রেজাউল করিম খান চুন্নু আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিবেন বলেও ঘোষণা দেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছল বের করা হয়। মিছিলে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম ও মনোনীত প্রার্থী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতা কর্মীরা।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি রুহুল হোসাইন ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল। সমাবেশ ও মিছিলে জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফুল ইসলাম অংশ নেন।
মিছিল শেষে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম বলেন, মাজহারুল সাহেব একজন ত্যাগী নেতা। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে তিনি মাঠে ছিলেন। মনোনয়ন দেওয়ার মালিক তো আমি নই। মনোনয়ন দিয়েছে দলের মনোনয়ন বোর্ড। এই মুহূর্তে সকলকে শালীনতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
