অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭৫২ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮ জন ও ভৈরবে ৮ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৭ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জনসহ মোট ২১ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৯ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৪ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০ হাজার ৩৪১ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৯৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮৩ জন, হোসেনপুরে ৩৪ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৪৯ জন, কটিয়াদীতে ২৬৮ জন, কুলিয়ারচরে ২০ জন, ভৈরবে ২৯২ জন, নিকলীতে ৩৫ জন, বাজিতপুরে ৬৬ জন, ইটনায় ৬ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ২৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৮৪ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২২৪ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ১৯৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৪২৬ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১২৪ জনকে। একই সময়ে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩৬০ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ২৮০ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৭৭ হাজার ৬৪৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৮৩৫ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৪৪ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৩ জন।