নিজস্ব প্রতিবেদক: এসভি নামের আড়ালে প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল সরযূ বালার নাম। কিশোরগঞ্জের সনামখ্যাত এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যায়টি অবশেষে সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামেই ফিরে গেলো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পত্রে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাপ্তরিক ও অন্যান্য প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ নাম ব্যবহার না করে সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানকে পূর্ণ নাম ব্যবহার করার জন্য গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পত্র দেয়া হয়েছিল। সে সকল প্রতিষ্ঠানের সকল ক্ষেত্রে পূর্ণ নাম ব্যবহার করার বিষয়টি যথাযথ মনিটরিং পূর্বক চলতি বছরের ৩০ মার্চের মধ্যে নিশ্চিত করে অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য পত্রে অনুরোধ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখন থেকে বিদ্যালয়টি সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামেই পরিচিত হবে। বিদ্যালয়ের গেটে পূর্ণ নামটি সংযোজন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৪ সালে আরবান স্কুল নামে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। পরে মিডল ইংলিশ স্কুল সংক্ষেপে এম. ই স্কুল নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সহপাঠ চালু হয়। ১৯৪৩ সনের ১ সেপ্টেম্বর এটি উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। মোট ৫১ জন ছাত্র ছাত্রী ও ১৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে বিদ্যালয়টি পথচলা শুরু করে। এর প্রথম প্রধান শিক্ষক জগৎ চন্দ্র চক্রবর্তী এবং প্রথম প্রধান শিক্ষিকা আজিজুন্নেছা।
১৯৮৫ সাল থেকে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণি চালু হয়। ২০১১ সাল থেকে ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ডাবল শিফট চালু হয়। বর্তমানে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণিতে তিনটি শাখা এবং ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত দুটি শাখা চালু রয়েছে।
বিদ্যালয়টির নামকরণ সম্পর্কে জানা গেছে, বর্তমান শোলাকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে বসবাসকারী এডভোকেট ভৈরব চন্দ্র চৌধুরীর কন্যা সরযূ বালার নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় সরযূ বালা বিদ্যা নিকেতন। সরকারিকরণের সময় নামকরণ হয় এস. ভি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ইংরেজিতে বানান Saraju এর S (এস) এবং Vidya এর V (ভি) নিয়ে এস. ভি করা হয়।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫৪৪ জন মেয়ে শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ এ বিদ্যালয়টি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ এ জাতীয় পর্যায়ে (মাধ্যমিক বিদ্যালয় শাখায়) শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হন বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ কবীর।