ঢাকাশুক্রবার , ১৫ এপ্রিল ২০২২
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুজি নেতা মুফতি শফিকুর রহমান কিশোরগঞ্জ কারাগারে

প্রতিবেদক
-
এপ্রিল ১৫, ২০২২ ৮:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিউজ একুশে ডেস্ক: হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সাবেক আমির বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি শফিকুর রহমানকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আজ শুক্রবার বিকালে হেলমেট বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে তাকে কিশোরগঞ্জের আদালতে তোলা হয়। 

কিশোরগঞ্জের আমলগ্রহণকারী আদালত নং এর  জ্যেষ্ঠ বিচারক মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালতে তোলা হলে তিনি তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

কিশোরগঞ্জের আদালতের ইন্সপেক্টর মো.আবুবকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন

সন্ধ্যার পর তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশীদ।

উল্লেখ্য, মুফতি শফিকুর রহমানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মরহুম মৌলভী শিশু মিয়া

বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব

বিষয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন  বিস্তারিত তুলে ধরেন

খন্দকার মঈন বলেন, ‘রমনা বটমূলে হামলার পর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মুফতি শফিক আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপর নিজের নামপরিচয় পরিবর্তন করেন। আব্দুল করিম নাম ধারণ করে ২০০৮ থেকে নরসিংদীর একটি মাদ্রাসায় আত্মগোপন করেন তিনি। নরসিংদীর চর এলাকায় অবস্থিত একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতির চাকরি নেন শফিক। ইমামতির আড়ালে তিনি মানুষের মাঝে ধর্মের নামে বিভ্রান্তিমূলক অপব্যাখ্যা প্রচার করতেন। কৌশলে মাঝে মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতেন।

মুফতি শফিকুর রহমান ওরফে আব্দুল করিম ওরফে শফিকুল ইসলামের বর্তমান বয়স ৬১ বছর।  ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি তিনি

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হন অনেকে আহত হন ঘটনায় থানায় হত্যা বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয় পরে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডি হত্যা বিস্ফোরক আইনে দুটি সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে দীর্ঘ শুনানি নিয়ে হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে শেষ হয়

২০১৪ সালের ২৩ জুন বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন। রায়ে নিষিদ্ধঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, বিএনপি নেতা সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ জনের ফাঁসি জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। অনাদায়ে আরো এক বছর  করে কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত

এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। সেই আপিল শুনানি হাইকোর্টে ঝুলে আছে আট বছর ধরে। মামলাটির আপিল শুনানির জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি হলেও এখনও  সেখানেই থেমে আছে। একবার শুনানি শেষে মামলাটি যুক্তিতর্কের পর্যায়ে গেলেও ওই পর্যন্তই। ফলে মামলাটি এখনও হাইকোর্টে শুনানির পর্যায়ে রয়ে গেছে

মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেনমাওলানা তাজউদ্দিন, মওলানা আকবর হোসেন, মুফতি আব্দুল হাই, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মওলানা আবু বকর  ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান মাওলানা আরিফ হাসান সুমন। এর মধ্যে পৃথক একটি মামলায় মুফতি আবদুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফেজ মওলানা আবু তাহের, মওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, হাফেজ মওলানা ইয়াহিয়া, মওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মওলানা আব্দুর রউফ ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।

আপনার মন্তব্য করুন