নিজস্ব প্রতিবেদক: ইজারা জুলুম ও ব্যবসায়ীদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে টানা চারদিন মাছ বিক্রি বন্ধ রেখেছিলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে আন্দোলনকারী নেতা ও ইজারাদারদের সমঝোতা বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
রবিবার পৌরসভা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমঝোতা বৈঠকের পর উভয় পক্ষ পৌর কর্তৃপক্ষের সিন্ধান্ত মেনে নেন। এর ফলে রাত থেকেই মাছ বিক্রি শুরু করা হয়।
কিশোরগঞ্জ শহর মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুকছেদ মিয়া জানান, আমরা যে দাবিতে ধর্মঘট পালন করেছিলাম, ইজারাদার সে দাবি মেনে নিয়েছেন। সে কারণে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আমরা মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রবিবার রাত থেকেই মাছ বিক্রি শুরু করা হয়েছে।
বড়বাজার মাছ মহালের ইজারাদার মো. আরজু মিয়া বলেন, পৌরসভা কার্যালয়ে মেয়র সাহেবের উপস্থিতিতে মাছ ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সাথে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা তোলার জন্য মেয়র সাহেব নির্দেশ দেয়ায় তিনি সেটা মেনে নিয়েছেন। তবে পৌর এলাকার সবগুলো বাজারেই যেন সরকার নির্ধারিত হারে ইজারা তোলা হয়, সেই দাবি জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রবিবার মাছ ব্যবসায়ী নেতা ও ইজাদারকে নিয়ে বৈঠকে সমঝোতা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত রেটে টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত উভয়পক্ষ মেনে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে বড় বাজার মাছ মহালে ইজারা জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগে মাছ ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন। এর ফলে শহরের সবকটি বাজারে মাছ বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। মাছ ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কাছেও এ বিষয়ে নালিশ করেন। পরে জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার মেয়রকে বলেন।