আদালত প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.সায়েদুর রহমান খান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফয়েজ মিয়া (২৮) অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের মধ্য আলীনগর গ্রামের ছমির উদ্দিন ওরফে সুবল মিয়ার ছেলে।
রাষ্টপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর শাহ আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ জুলাই মধ্য আলীনগর গ্রামের ছমির উদ্দিন ওরফে সুবল মিয়ার ছেলে ফয়েজ মিয়ার সাথে বিয়ে হয় আলীরগর উত্তরপাড়া গ্রামের আক্কাছ মিয়ার মেয়ে চায়না আক্তারের। বিয়ের ২৩ দিন পরে অর্থাৎ ৩০ জুলাই রাতে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান ফয়েজ মিয়া। সেদিন রাতে চায়নার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। সকাল ৭ টার দিকে নাস্তা খাওয়ার জন্য তার শাশুড়ি ডাকতে গেলে তিনি জানান, বাড়ি থেকে জরুরি ফোন এসেছে এই মুহূর্তে তাকে চলে যেতে হবে। আর স্ত্রীকে এখন ডাক না দিতে বলেন। তার খিদে লাগলে উঠে খাবে বলেও জানান তিনি। এ কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে যান তিনি।
অনেকক্ষণ পরেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বড়বোন ছায়েরা আক্তার চায়নার রুমে গিয়ে দেখেন তার গলায় ওড়না পেচানো। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই চায়নার পিতা আক্কাছ মিয়া বাদী হয়ে ফয়েজ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে অষ্টগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ বছরের ২০ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অষ্টগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক এসআই মো.চাঁন মিয়া মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।