স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার টুনিকে (৯) ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন আসামী নজরুল ইসলাম (৩৫) গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। নজরুল কটিয়াদী উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের ছমর উদ্দিনের ছেলে। কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে নজরুলকে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য,কটিয়াদী উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের চুন্নু মিয়ার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে সাদিয়া আক্তার টুনিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে কটিয়াদী থানায় মামলা হয়। মামলাটি পরে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখরুল হক খানকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আসামীর স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, গত ২ জুলাই সকালে টুনির পিতা চুন্নু মিয়া পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরতে যান। মেয়ে টুনিও মাছ আনার জন্য নদের ধারে যায়। এক পর্যায়ে চুন্নু মিয়া টুনিকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাছ ধরা শেষে চুন্নু মিয়া বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু বাড়িতে টুনিকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। পরে জয়নালের পাটক্ষেতে টুনির লাশ পাওয়া যায়। লাশের ময়না তদন্তে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি জানা যায়।
ঐদিন আসামী নজরুল ঘটনাস্থলের কাছে তার জমিতে কাজ করছিল বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান। পাটক্ষেতের ধারে সাদিয়া আক্তার টুনিকে দেখে নজরুল তাকে জড়িয়ে ধরেন। টুনি এ কথা তার মা–বাবার কাছে বলে দেবার কথা বললে নজরুল টুনির মুখ চেপে ধরে পাটক্ষেতের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় টুনি বাঁচার চেষ্টা করলে নজরুল গলা চেপে তাকে হত্যা করে চলে যায়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পর উক্ত নজরুল স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে। পরে গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থেকে সর্বশেষ ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থান করে।