ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ জুন ২০২২
  • অন্যান্য
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করিমগঞ্জে চার শিক্ষিকাকে হেনস্থাকারী মূল হোতাসহ চারজন গ্রেফতার

প্রতিবেদক
-
জুন ১৬, ২০২২ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চার শিক্ষিকাকে হেনস্থাকারী মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-১৪ এর একটি দল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলিস্তান ও করিমগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে তাদের।

র‌্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের দলটি ঢাকার গুলিস্তান ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন ঘটনার মূল হোতা করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সৌরভ মিয়া ওরফে বাবু (১৭), করিমগঞ্জের আব্দুল খালেকের ছেলে আল আমিন ওরফে সোহেল ওরফে ভিআইপি রানা ওরফে  প্রিন্স রানা (২২), জাফরাবাদ ইউনিয়নের মালিবাড়ির শুকনের ছেলে সোহান ওরফে হীরা (১৭) ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের রঘুনন্দনপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সীমান্ত (১৭)।

র‌্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর সহকারী পরিচালক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদেরকে বেশ কিছুদিন যাবত উত্যক্ত করে আসছিল বলে স্বীকার করে। গ্রেফতার সোহেল ওরফে ভিআইপি রানা ওরফে প্রিন্স রানা উঠতি বয়সী কিশোরদের নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে এবং নেতৃত্ব দেয়। এই চক্রের সদস্যরা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতো। রানা বিবাহিত হওয়া স্বত্বেও দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রীদেরকে উত্যক্ত করে আসছিল। এক্ষেত্রে কোন ছাত্রী প্রতিবাদ করলে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দিতো।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন করিমগঞ্জের জঙ্গলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন বহিরাগত বখাটেরা বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ছাত্রীদের ছবি তোলার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজন শিক্ষিকা তাদেরকে চলে যেতে বলেন। এ সময় তারা শিক্ষিকাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। বিকালে স্কুল ছুটি শেষে চার শিক্ষিকা অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার পথে করিমগঞ্জের তালিয়াপাড়া এলাকায় বখাটেরা অটোরিকশার গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষিকাদের গায়ে গোবর ও কাদা মিশ্রিত পানি নিক্ষেপ করে চলে যায়।

ঘটনাটি জানাজানি হলে পরদিন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান করিমগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন।

আপনার মন্তব্য করুন