নিউজ একুশে ডেস্ক: আনন্দ উচ্ছ্বাস আর বুক ভরা আবেগ নিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। কিন্তু বিষাদে পরিণত হয়েছে সেই আনন্দযাত্রা। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ম্লান করে দিয়েছে তাদের সব আনন্দ উচ্ছ্বাস।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়ন থেকে ৮০ জনের একটি দল সাতটি মাইক্রোবাসে করে দেখতে যান স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শনিবার সকালে রওনা হয়ে দ্রুতই পৌঁছে যান তারা। সেতু দেখে আর ঘোরাঘুরি হয়ে যায় বিকেল। সেতু দেখে ফেরার পথেই ঘটে দুর্ঘটনাটি।
ভৈরর থেকে মাইক্রোতে করে পদ্মা সেতু দেখতে যাওয়া আবু তাহের শিকদার জানান, আমরা ভৈরব থেকে এলাকার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে এসেছিলাম। সেতু দেখা শেষে বিকেলে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি চলছিল। এমন সময় একটি বাস এসে পেছন থেকে আমাদের একটি মাইক্রোবাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটি উল্টে যায়। তখন ঘটনাস্থলেই আমাদের সফরসঙ্গী আব্দুল হক মোল্লা মারা যান। এ সময় সাথের আরও ১৩ জন আহত হন। আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা টোলপ্লাজার কাছে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আব্দুল হক মোল্লা (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুল হক মোল্লা ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের ছাগাইয়া গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনার পর নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
পদ্মা দক্ষিণ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের নাওডোবা ব্রিজ এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসকেকে সজোরে ধাক্কা দেয় কুয়াকাটা থেকে ঢাকাগামী অন্তরা ক্ল্যাসিক পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আব্দুল হক মোল্লা। এ ছাড়া মাইক্রোবাসের ১৩ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
আহতদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের একটি দল।