নিউজ একুশে ডেস্ক: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চাঞ্চল্যকর সোহরাব হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল থলিয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তাকে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের নাটাই ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের আলা উদ্দিন ওরফে জিন্না মিয়ার ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, সিএনজি অটোরিকশা চালক সোহরাবকে হত্যার দায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল সোহরাব সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার খোঁজ না পেয়ে বিজয়নগর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরদিন স্বজনরা সংবাদ পান যে, সোহরাবকে হত্যা করে আসামি আলগীর সিএনজি অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। সোহরাবের মরদেহ হরষপুর ইউনিয়নের বোল্লা টানপাড়া সেতুর পশ্চিম পাশে পুকুরের পানিতে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় আসামি আলমগীরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড হয়।
র্যাব আরও জানায়, একই বছরের ২৪ মার্চ সকাল ৭ টার দিকে ভিকটিম উজ্জ্বল তার বন্ধু আলমগীরেকে সাথে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বের হন । কিন্তু রাতে বাড়িতে ফিরেননি তিনি। পরদিন সকাল ১০ টার দিকে বিজয়নগর থানার বিষ্ণুপুরের একটি ধান খেতে উজ্জ্বলের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিজয়নগর থানায় দায়ের করা মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের পিপিএম জানান, আসামি আলমগীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাঁচার জন্য নিজের নাম পরিবর্তন করে চলতি বছরের ৩১ জুলাই আল আমিন নাম হিসেবে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। নতুন আইডিতে গ্রামের নাম তেতৈতলা নয়নাবাদ, ডাকঘর ভাটিয়ারা, থানা আড়াইহাজার ও জেলা নারায়ণগঞ্জ এ ঠিকানা ব্যবহার করে আসছেন।
সাজা ওয়ারেন্ট মূলে আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।