নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে কিশোরগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানান, আজ ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগদান করার সময় স্লোগান দিলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করে। গুলি ও লাঠিচার্জে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সিনিয়র সহ সভাপতি মুশতাক আহমেদ শাহীন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জোবায়েরসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।
এদিকে সংঘর্ষের সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.মাজাহারুল ইসলাম, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, সহ সভাপতি রুহুল হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া ও নাজমুল আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান করেন। বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদেরকে ঘিরে রাখে। এ অবস্তাথায় তারা গ্রেফতারের আশঙ্কা করছিলেন। কিন্তু প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশ সরে গেলে কার্যালয় থেকে নিরাপদেই বের হয়ে যান তারা।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, যুবদলের মিছিল থেকে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় তিনি নিজে তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরো বেপরোয়া হয়ে তার প্রতি চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে লাঠিচার্জ ও কিছু শটগানের ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনিসহ পুলিশের ১১ সদস্যসহ আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাউদসহ ১১ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।