পর্তুগাল থেকে সাইফুল ইসলাম জনি: পর্তুগালে ২০২১ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশি কমিউনিটি পর্তুর সভাপতি বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব শাহ আলম কাজল। আটলান্টিক মহাসাগরের কূলঘেষা দক্ষিণ -পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ নগরী পোর্তোর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিজয়ী হন বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার এই কৃতি সন্তান।
পোর্তোর সিটি নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুন্তা ফ্রেগজিয়া বনফিমের অ্যাসেম্বলি প্যানেলে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়ে। আর এরমধ্যে ক্ষমতাসীন সোস্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি প্রার্থী শাহ আলম কাজল ২১.২ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত জয়লাভ করেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় শাহ আলম কাজল জানান, আমাকে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন স্বরূপ এলাকার উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডসহ প্রবাসীদের অধিকার সমুন্নত রাখায় সবোর্চ্চ চেষ্টা করবো। আগামী দিনগুলোতে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার জন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন তিনি। শাহ আলম কাজল আরও বলেন, এই বিজয় শুধু আমার একার নয়,এই বিজয় পুরো বাংলাদেশের। ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মের আরও অনেকেই পর্তুগালের মুলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তার এই বিজয়ে পুরো পর্তুগাল জুড়ে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আনন্দ বয়ে যাচ্ছে এবং সেই সাথে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তায় আপ্লুত হচ্ছেন এই নেতা।
উল্লেখ্য, শাহ আলম কাজল বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার পালপাড়া গ্রামে ১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহাম্মদ আলী এবং মাতা হালিমা বেগমের তৃতীয় সন্তান তিনি। দুই কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক শাহ আলম কাজল।
অপরদিকে রাজধানীর লিসবনের সিটি নির্বাচনে অ্যাসেম্বলির সদস্য পদে ক্ষমতাসীন সোস্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তাসলিম উদ্দিন। কিন্তু লিসবন সিটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত তার দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় তিনি জয় বঞ্চিত হন।
সকল জরিপ ও পূর্বানুমানকে ভুল প্রমাণ করে সকলকে চমকিয়ে সোস্যাল ডেমোক্রেট নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থী জোটের কাছে শতকরা মাত্র ১ ভাগ ভোটের ব্যবধানে দীর্ঘ ১৪ বছর পর রাজধানী লিসবন সিটির মেয়র পদ হাতছাড়া হয় ক্ষমতাসীন সোস্যালিস্ট পার্টির।
২৬ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।