নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে ছেলেকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিতা। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমেদ।
অংশিদারী ব্যবসার লাভের অংশ দাবি করায় দুই ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে কবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইটনা উপজেলার পাগলসি গ্রামের নূরুজ্জামানসহ কয়েকজনের সঙ্গে অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে নৌকার ব্যবসা করছিলেন তার দুই ছেলে মোসাব্বির হোসেন সাদ্দাম ও তাওসিফ কবির সায়েম। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে তার দুই ছেলে ১১টি নৌকার মধ্যে ৮টি নৌকার ৫০ ভাগ মালিকানা অর্জন করেন। নৌকা ক্রয়ের পর থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছিল তারা। কিন্তু নূরুজ্জামানসহ তার লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সুবিধাভোগী ছিলেন এবং তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ও মুজিবুল হক চুন্নুর নির্দেশে দুই ছেলেকে তাদের অংশ বিক্রি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে দৈনিক লভ্যাংশের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিপক্ষ। লভ্যাংশ তো দিচ্ছেইনা, উল্টো তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন ব্যবসার অংশিদার নূরুজ্জামান। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর দুপুরে করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার থেকে মোসাব্বির হোসেন সাদ্দামকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। পরদিন দুই ছেলেসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কবির উদ্দিন বলেন, যেখানে অংশিদার সূত্রে তার দুই ছেলের ৮টি নৌকার মালিকানা রয়েছে এবং মালিকানার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে, সেখানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গ্রেফতার করানো দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে তার পরিবার চরমভাবে নির্যাতিত এবং এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থা থেকে সরকারের কাছে পরিত্রাণ চেয়েছেন কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা করিব উদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, কবির উদ্দিন আহমেদ এর ছেলে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন ও সাকিল আহমেদ নাদভী, নিয়ামত এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।