নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত) নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এ সময় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফলাফল পাওয়া গেছে। এর আগের হিসাব অনুযায়ী জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৯৪৩ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শনিবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান ৮ অক্টোবর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
এদিকে ৮ অক্টোবর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৫ জনসহ মোট ১৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৬ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৬৫৭ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৪ জন, হোসেনপুরে ১ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন ও ভৈরবে ৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৮ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ হাজার ৫৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৫০৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তবে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৪৫৩ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ১২০ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৮২ হাজার ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৪৫৯ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫ লক্ষ ১১ হাজার ৯৫১ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৫ জন।
