আদালত প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে মাদকের মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আজ বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার দক্ষিণ জাংগিরাই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল মালেক (৩৩) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান (২৭)।
রায় ঘোষণার সময় মোখলেছুর রহমান উপস্থিত থাকলেও আব্দুল মালেক ছিলেন পলাতক।
কিশোরগঞ্জ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে র্যা ব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা জানতে পারেন যে, আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান ঢাকার দিকে যাবে। এ সংবাদের ভিত্তিতে রাত থেকেই ভৈরবের দুর্জয় মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নজরদারি বাড়ায় র্যায়ব। পরদিন সকালে খাঁটিহাতা এলাকায় ফাহাদ ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি প্রাইভেটকারকে অনুসরণ করে করেন র্যাব সদস্যরা। পরে দুর্জয় মোড় এলাকায় প্রাইভেটকারটি থামিয়ে তল্লাশি করে পিছনের ডালার ভিতর থেকে ৮০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার এবং প্রাইভেটকারে থাকা দুজনকে আটক করা হয়। এদিন রাতেই র্যা বের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম সরদার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় আব্দুল মালেক ও মোখলেছুর রহমানকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরদিন ১ নভেম্বর দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব থানার (এসআই) মাজহারুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর আব্দুল মালেক ও মোখলেছুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর জামিনে বের হয়ে আব্দুল মালেক পালিয়ে যান।