অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় (বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ৫ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছে ১৩২ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৭১৪ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬ জন, হোসেনপুরে ৯ জন, করিমগঞ্জে ৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ১২ জন, কটিয়াদীতে ২২ জন, কুলিয়ারচরে ৪ জন, ভৈরবে ৩১ জন, নিকলীতে ৪ জন, বাজিতপুরে ২৫ জন, ইটনায় ১ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৪, ২৫, ২৭ ও ২৮ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৭ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩২ জন, হোসেনপুরে ৪৬ জন, করিমগঞ্জে ১৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩৮ জন, কুলিয়ারচরে ৬ জন, ভৈরবে ২ জন, নিকলীতে ৩ জন, বাজিতপুরে ২১ জন ও ইটনায় ১৭ জনসহ মোট ১৮০ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৪৮ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৮ বছর বয়সী একজন নারী, কুলিয়ারচর উপজেলার ৮০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, কটিয়াদী উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন পুরুষ এবং বাজিতপুর উপজেলার ৮০ ও ৪০ বছর বয়সী দুজন পুরুষ মঙ্গলবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৪৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬ হাজার ৪৫০ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১১৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৭০ জন, হোসেনপুরে ১৫২ জন, করিমগঞ্জে ৪৪ জন, তাড়াইলে ৩০ জন, পাকুন্দিয়ায় ২০৮ জন, কটিয়াদীতে ৩০৭ জন, কুলিয়ারচরে ৫৯ জন, ভৈরবে ২২৩ জন, নিকলীতে ৩৩ জন, বাজিতপুরে ১১৯ জন, ইটনায় ৩২ জন, মিঠামইনে ২৪ জন ও অষ্টগ্রামে ১৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৩৫ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৮২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ হাজার ৭০৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ৬২৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১০০ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৩৫ হাজার ৬৭৫ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৮২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।