নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ডাকাতি মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ ও ইটনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার চারজন হলেন ইটনা উপজেলার শিমুলবাঁক গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মাহাবুব আলম (৩৫), মৃত আলী আহমদ এর দুই ছেলে মহিবুর (৩৫) ও নাসির উদ্দিন (২৭) এবং মৃত আনজুম আলীর ছেলে নাজমুল হুদা (২৫)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি চাপাতি, একটি ছোরা, তিনটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর লক্ষ্মীদিয়া গ্রামের জনৈক মজনু মিয়াসহ কয়েকজন লোক মিঠামইন হাওরে ঘুরতে যান। মিঠামইন থেকে করিমগঞ্জের বালিখলা ঘাটে ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে করিমগঞ্জের হাসানপুর ব্রীজ পার হওয়ামাত্র অজ্ঞাতনামা কতিপয় লোক তাদের নৌকা আটকিয়ে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে মজনু মিয়া করিমগঞ্জ থানায় ২৩ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন।
করিমগঞ্জ থানা পুলিশ মামলার প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওপর ন্যাস্ত করা হয়। ডিবির এসআই (নিরস্ত্র) মো. রমজান আলী মামলাটি তদন্ত করছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ডিবির এসআই (নিরস্ত্র) রমজান আলী ও এসআই মো. মাহমুদুল হাসান মারুফের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরে অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত একটি মোবাইলসহ আসামী মাহাবুব আলমকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঐদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইটনা উপজেলার শিমুলবাঁক মাদ্রাসা ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে লুণ্ঠিত দুটি মোবাইল ফোনসেট ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ অপর তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।