নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নারীদের ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (Women’s Cancer Control Program) অবহিতকরণের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকরতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএমএর সভাপতি ডা. মাহবুব ইকবাল, জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ ওয়াহাব বাদল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ বিশিষ্ট শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ডা. নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাশহুদা খাতুন শেফালী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকাল, তিন দশকের কার্যক্রম ও নারীদের ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর বিভিন্ন দিক ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, নারীর নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক) এর ‘উইমেন্স ক্যান্সার কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত কর্মসূচির আওতায় জাতীয়, আঞ্চলিক ও সামাজিক পর্যায়ে স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা বিষয়ক দিক–নির্দেশনা প্রদান করা হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল ও সমাজভিত্তিক কার্যক্রমও পরিচালনা করা হবে। এ কার্যক্রমটি প্রাথমিকভাবে কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা শহর, পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন ও ঢাকার সাভারে অবস্থিত মোট তিনটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজভিত্তিক ক্যান্সার সেবা চালু করা হবে। এতে টেলিমেডিসিনের সহায়তায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় স্তন, জরায়ুমুখ ও মুখগহ্বরের ক্যান্সারের একটি সমন্বিত ও সংগঠিত স্ক্রিনিংয়ের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ডা. মাহবুবুল ইকবাল বলেন, ক্যান্সারের সচেতনতার পাশাপাশি ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ও পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য ‘’পেলিয়েটিভ কেয়ারের’’ বিষয়ে সবাইকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, মূলত তিনটি কারণে যেমন রেডিয়েশন, জেনেটিক ও কেমিক্যালের কারণে মানুষের ক্যান্সার হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলার সকল এনজিওর সমন্বয়ে এই ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করা যেতে পারে। বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত মহিলা সদস্যদের সাথে কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতামূলক কাজের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে সকল সহযোগিতা করা হবে।
সভা সঞ্চালনা করেন নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মাশহুদা খাতুন শেফালী।