হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্রিগেডের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে উন্নয়ন শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকালে শোভাযাত্রাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্রিগেডের আহ্বায়ক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।
শোভাযাত্রার আগে হোসেনপুর হাসপাতাল মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বলেন, এ অঞ্চলে জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে, বিগত ৫০ বছরেও সে উন্নয়ন হয়নি। ব্রিজ ও রাস্তাঘাটের যেমন অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি হয়েছে আসাদুজ্জামান খান অডিটরিয়াম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নিজেকে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমি কোনো আগন্তুক নই। স্কুলজীবন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছি। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে ছয়বার জেল খেটেছি। আমাদের রক্ত কখনো বেইমানী করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার চাচা সৈয়দ নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেইমানী করেননি বলেই জেলখানায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমার পিতা সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলামকে সামরিক আদালতে অন্যায়ভাবে বিচারের নামে প্রহসন করে কারাগারে পাঠানো হয়। তার ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। তাদের মতই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। দলের দুর্দিনে যখন অনেকেই গাছাড়া ভাব নিয়ে চলেছেন, সৈয়দ আশরাফ তখন দলকে সুসংগঠিত করেছেন। পূর্বসুরীদের মতোই দেশ ও দলের প্রয়োজনে তিনিও নিজেকে বিলিয়ে দিতে সর্বদা প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন সৈয়দ টিটু।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্রিগেড হোসেনপুর শাখার আহ্বায়ক রাইসুল হাসান কেনেডি। সমাবেশ শেষে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রাটি হোসেনপুর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা থেকে বৈঠা হাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।