করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কদমতলী পাকা রাস্তা থেকে দক্ষিণ দিকে বড় হাওর অভিমুখে চলে গেছে একটিমাত্র রাস্তা। রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ পাকা করা হলেও প্রায় ৭০০ মিটার কাঁচা। বোরো ধান কাটার সময় কৃষকরা এ রাস্তা দিয়ে ফসল ঘরে তুলেন। কিন্তু সামান্য কাঁচা রাস্তার কারণে বছরের পর বছর ধরে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ।
অপরদিকে কদমতলী পাকা রাস্তা থেকে দক্ষিণ নানশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে একটি রাস্তা চলে গেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের চারুয়াকান্দি পর্যন্ত। প্রায় দুই কিলোমিটারের এ রাস্তাটি সম্পূর্ণই কাঁচা। কিশোরগঞ্জ সদরের সঙ্গে করিমগঞ্জের জয়কা ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের সহজ যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা এটি। রাস্তাটির অনেক স্থানেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং বছরের বেশিরভাগ সময়ই কর্দমাক্ত থাকে। ফলে এখানকার মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছেনা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জয়কা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত জানান, বড় হাওরকেন্দ্রীক রাস্তাটির প্রায় ৭০০ মিটার কাঁচা হওয়ায় বোরো ধান কাটার মৌসুমে হাজারো কৃষককে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। হাঁটু পরিমাণ কাঁদা মাড়িয়ে কষ্টে ফলানো ধান ঘরে তুলতে হয়। এছাড়া জয়কা ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষের কিশোরগঞ্জ সদরের সঙ্গে সহজ যোগাযোগের রাস্তাটি সম্পূর্ণ কাঁচা। ফলে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে এখানকার মানুষকে সদরে যেতে হয়। সরকারি দপ্তরে ধরনা ও তদবির করেও কোনো কাজ হচ্ছেনা বলে জানান তিনি।
জয়কা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, বড় হাওরের প্রায় ৭০০ মিটার এবং সদরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা এখানকার মানুষের খুবই প্রয়োজনীয়। দুটি রাস্তা পাকা করার জন্য তিনি নিজেও চেষ্টা তদবির করছেন। রাস্তা দুটি পাকা হলে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ উপকৃত হবে এবং এখানকার অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু জানান, এখানকার বেশিরভাগ রাস্তাই পাকা করা হয়েছে। গ্রামীণ কিছু রাস্তার কাজ বাকি রয়েছে। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সংশ্লিষ্ট রাস্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।