নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার আসামি সুমন সরকারকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর দত্তের আদালতে হাজির করলে আসামি সুমন ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
গ্রেফতার সুমন সরকার নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার সাধারচর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম সরকার ওরফে সালামত সরকারের ছেলে।
পিবিআই জানায়, ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর রাত ২টার দিকে ভৈরব উপজেলার ইমামেরচর গ্রামের নবী হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। পরিবারের সদস্যরা টের পেয়ে ডাকাতদের আটক করার চেষ্টা করলে ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে তারা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারযোগে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল, ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও তিনটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নবী হোসেন বাদী হয়ে ২৬ অক্টোবর ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি পিবিআইয়ে ন্যস্ত হয়। এসআই (নি.) আবু কালাম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে পারেন আসামি সুমন, আব্দুল্লাহ, রুবেল, আসাবুদ্দিন, আলামিন, আমজাদ, রিপন, জাহাঙ্গীর, জিল্লু সমবয়সী ও পরস্পর বন্ধু। তাদের একটি সংঘবদ্ধ চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সিন্ডিকেট রয়েছে এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা র্দীঘদিন ধরে সড়ক ও নৌ পথে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছে।
ঘটনার এক সপ্তাহ আগে আসামি সুমন, আব্দুল্লাহ, জিল্লু মিলে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী নবী হোসেনের বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়। ডাকাতির পর আসামী সুমন, জিল্লু ও আব্দুল্লাহ ১০ হাজার টাকা করে এবং অন্যরা ৭/৮ হাজার টাকা করে নেয়। তিনটি মোবাইল ফোনের মধ্যে আব্দুল্লাহ ১টি, জিল্লু ১টি ও ১টি মোবাইল জিল্লুর ভাতিজা নিয়ে যায়। আব্দুল্লাহর মায়ের কাছে ১৫ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার বিক্রি করে। স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকা প্রত্যেকে ২/৩ হাজার টাকা করে ভাগ করে নেয়। আর আলামিন ও রুবেলের পরিচিত বন্ধু দ্বীন ইসলামের কাছে মোটরসাইকেলটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা করে ভাগ করে নেয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু কালাম জানান, আসামী সুমন সরকারের বিরুদ্ধে নরসিংদী জেলার বেলাব ও মনোহরদী থানায় ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ৮টি মামলা এবং ১টি ধর্ষণের মামলা রয়েছে।
পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে পিবিআই জানায়।