অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত এবং ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ১০২ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭১ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৪ জন, হোসেনপুরে ৭ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ৯ জন, কটিয়াদীতে ২৯ জন, কুলিয়ারচরে ৬ জন, ভৈরবে ৪০ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ১ জন ও মিঠামইনে ৩ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৯, ৩০, ৩১ জুলাই ও ৪ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৪ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩৯০ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৮৫ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩০ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন নারী, কটিয়াদী উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী একজন নারী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন নারী গত বুধবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ভৈরব উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৭১ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬ হাজার ৯৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৯৫৮ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৮১ জন, হোসেনপুরে ২১৮ জন, করিমগঞ্জে ৬২ জন, তাড়াইলে ৫১ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৬৩ জন, কটিয়াদীতে ৪৮২ জন, কুলিয়ারচরে ৭৫ জন, ভৈরবে ৫৭৯ জন, নিকলীতে ৪৪ জন, বাজিতপুরে ১৯২ জন, ইটনায় ৩০ জন, মিঠামইনে ২৯ জন ও অষ্টগ্রামে ৫২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৮৮৬ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১২ হাজার ১৫৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৪২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১ জন এবং দ্বিতীয় ডোট টিকা নিয়েছেন ১৩১ জন। কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৮৭ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৬৩ হাজার ৬৮৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ হাজার ২৩৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬০ হাজার ৬০১ জন।