নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার গণধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাতে গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানার জামাই বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার দুজন হলেন পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি (ভূঁইয়াবাড়ি) গ্রামের মাসুমের ছেলে মেহেদী হাসান (২২) ও তারাকান্দি আকন্দবাড়ি গ্রামের মোখলেছ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান মাহিন (২২)।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব–১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব–১ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি বেলা ১২টার দিকে পাকুন্দিয়ার চর তেরটেকিয়া এলাকা থেকে ভিকটিম তার দুই বন্ধুকে নিয়ে অটোরিকশাযোগে পার্শ্ববর্তী তারাকান্দি এলাকায় ঘুরতে বের হন। তারাকান্দি বাজারে যাওয়ার পর রাস্তার পাশে অটোরিকশা রেখে দুই বন্ধ কিছু কিনতে যান। এ সময় এলাকার বখাটে কাউসার (২৪), জুবায়েদ হাসান শুভ (১৮), হাসান (২২), হৃদয় (৩২), মাহিন বাবু (২২), তোফাজ্জল হোসেন রাজু (২৪) ও ইয়াছিন (২৫) ভিকটিমকে উত্যক্ত করতে থাকে। ভিকটিমের দুই বন্ধু এগিয়ে এলে বখাটেরা তাদেরকে অটোতে তুলে তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসার মাীেঠ নিয়ে যায়। সেখানে তারা ভিকটিমের দুই বন্ধু ও অটোচালককে মাদ্রাসার মাঠে আটকে রাখে। বিকাল ৩টার দিকে ভিকটিমকে মাদ্রাসার পাশে জনৈক রানা ভূঁইয়ার পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিমের দুই বন্ধুর কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তারা মুক্তিপণের টাকা আনার কথা বলে কৌশলে পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বখাটে কাউসার, জোবায়ের হাসান শুভ ও তোফাজ্জল হোসেন রাজুকে গ্রেফতার এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়।
ভিকটিম চিকিৎসা গ্রহণ করে ঘটনার পরদিন পাকুন্দিয়া থানায় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করতঃ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।