নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বুরহান হত্যার আসামি জাকির হোসেন ওরফে অজুকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গিরচর থানাধীন রসুলপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব–১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল। জাকির কটিয়াদী উপজেলার নাগেরগ্রাম (পূর্বপাড়া) গ্রামের ছকবুল হোসেনের ছেলে। ভিকটিম বুরহান কটিয়াদীর বোয়ালিয়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি নাগেরগ্রাম হলেও কিছুদিন আগে তারা বোয়ালিয়া এলাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে র্যাব জানিয়েছে। আসামি জাকির একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে এরশাদ হত্যামামলারও ১নং আসামী। রবিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং আসামি জাকিরকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, এরশাদ হত্যামামলায় জেল থেকে জামিনে বের হয়ে মামলার বাদী নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে আপোসের চেষ্টা করেন জাকির। কিন্তু নিজাম তার প্রস্তাবে রাজি হননি। এ অবস্থায় নিজামকে ফাঁসানো এবং ভিকটিম বুরহানের পরিবারের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে আসামি জাকিরের স্বজনদের আগে থেকেই বিরোধ থাকায় বুরহানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মার্চ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ভিকটিম বুরহান নাগেরগ্রামে গেলে আসামি জাকির কৌশলে তাকে কুমড়ি বিলের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে জাকির মোবাইল ফোনে আরো কয়েকজনকে ডেকে আনে। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাত ১টার দিকে বুরহানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ বিলের মাঝখানে একটি ধানখেতে ফেলে রাখে। পরদিন দুপুরে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহত বুরহানের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রনলীডার মো. আশরাফুল কবির জানান, বুরহান হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে জাকিরের সম্পৃকতার বিষয়টি নিশ্চিত হয় র্যাব। তাছাড়া ঘটনার দিন থেকে জাকির পলাতক থাকায় সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। এ অবস্থায় জাকিরকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। অবশেষে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ধানাধীন রসুলপুর এলাকায় তার বোনের বাসায় আত্মগোপনে থাকাবস্থায় রবিবার সকালে জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার অপর আসামিদেরকেও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।