নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেননা শহিদ পরিবারের সদস্যরা। তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের নানশ্রী গ্রামের শহিদ আবু জাফর খাঁনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম খাঁন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ১৯৭১ সনে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহিদ হন তার পিতা আবু জাফর খাঁন। পিতার মৃত্যুর দুই মাসের মাথায় মারা যান তার মা। তারা রেখে যান এক একর ১৪ শতাংশের বসতবাড়িসহ অনেক সম্পত্তি।
পিতা মাতার মৃত্যুর পর সিরাজুল ইসলাম খাঁন বড় বোনদের বাড়িতে থেকে বড় হন এবং সরকারি চাকরি জুটিয়ে এলাকার বাইরে চলে যান। তার ছোট ভাই যুবরাজ খাঁন চলে যান দেশের বাইরে। অনেক বছর দেশের বাইরে কাটিয়ে ছোট ভাই যুবরাজ চলে আসেন দেশে। সিরাজুল ইসলাম খাঁনও সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে চলে আসেন নিজ এলাকায়। পৈত্রিক ভিটিতে একটি ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু এতে বাধা দেন এলাকার একটি সন্ত্রাসীচক্র। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস হয়। শালিসে সিরাজুল ইসলাম খাঁনের পক্ষে রায় হলেও বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেয় প্রভাবশালী চক্রটি। পরে এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। মামলার পর আদালতের প্রতিনিধি সরেজমিন এলাকায় গিয়ে তদন্ত করে সিরাজুল ইসলাম খাঁনের পক্ষে আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি বসতঘর নির্মাণ করেন তারা। কিন্তু গত ২৫ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা বাড়ির মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তারা বাড়িতে গেলে সন্ত্রাসীরা হত্যার হুমকি দিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
এদিকে মালামাল লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ মে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন সিরাজুল ইসলাম খাঁন। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল ইসলাম খাঁনের ছোট ভাই যুবরাজ খাঁন, বোন শামছুন্নাহার খানম, আনোয়ারা খানম, নূরুন্নাহার খানম রেখা ও শাহানা খানম উপস্থিত ছিলেন।