নিজস্ব প্রতিবেদক: জনতার রায় পক্ষে এলেও ক্ষমতার কাছে পরাজিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন আল মাসুদ খান। বৃহস্পতিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটালস্থ তার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এবং এর আগের পাঁচ বছর ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে জনগণ এবারও তার পক্ষে রায় দিয়েছে। তবে ক্ষমতার কাছে হেরে গেছেন তিনি।
মামুন অভিযোগ করেন, প্রভাবশালীরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছেন। বিশেষ করে সদর উপজেলার বৌলাই, যশোদল, মহিনন্দ, কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোসহ অন্তত ১০/১২টি কেন্দ্রে লুটপাট ও জাল ভোটের অভিযোগ করেন তিনি।
মামুন আরও অভিযোগ করেন এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্বাচনের দিন বিকালে বৌলাই ইউনিয়নের হাবিবুল হক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্টের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনরত তার ছোট ভাই শফিকুল আলমকে বেদম মারপিট করা হয়।
এ সমস্ত ঘটনায় নির্বাচন বিতর্কিত এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ একদিন এর বিচার করবে।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান পদে তার অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম পরাজিত হয়েও তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে মামুন আল মাসুদ খান বলেন, তিনি বিজয়ী প্রার্থীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই প্রার্থী হয়েছিলেন এবং এক্ষেত্রে তিনি সফল হয়েছেন।
নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ষড়যন্ত্র ছাড়া কিশোরগঞ্জের জনগণকে পরাজিত করার ক্ষমতা কারো নেই। আমরা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়েছি।