নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্ষা মৌসুম তো বটেই, শুষ্ক মৌসুমেও সড়কটিতে পানি জমে থাকতো। বর্ষা মৌসুমে জুতা হাতে নিয়ে পথচারীদেরকে চলাচল করতে হতো। বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অবশেষে রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।
সড়কটি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর বাজার এলাকার। পাইকলক্ষ্মীয়া থেকে সদর বাজার হয়ে বাইপাস পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই সড়কটি নির্মাণ করছে কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি ফরিদ উদ্দিন জানান, পাকুন্দিয়া সদর বাজারের এ সড়কটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অনুপযোগী অবস্থায় ছিল। সড়কটিতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে জনগণকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় সকলেই খুশি। সংসদ সদস্য এডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, তার চেষ্টাতেই সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এডভোকেট সোহরাব সাহেব আগেও যখন এমপি ছিলেন, তখনও এলাকার আশানুরূপ উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু বিগত পাঁচ বছর তিনি এমপি না থাকায় এলাকাটি উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন তাকে কেন্দ্র করে এখানকার মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
রবিবার সকালে সড়কটির নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। পরিদর্শন শেষে রাস্তাটি নির্মাণে গুণগত মান বজায় রাখায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছর এ এলাকায় কোনো সংস্কারকাজ হয়নি। উন্নয়নের গতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এলাকার উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে পাকুন্দিয়া সদর বাজারের রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। পিছিয়ে পড়া সকলকিছুই পর্যায়ক্রমে উন্নয়নের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১০ কোটি টাকা। খুব শিগগির রাস্তাটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।