নিজস্ব প্রতিবেদক: চতুর্থ ধাপে কিশোরগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বুধবার। উপজেলাগুলো হলো বাজিতপুর, ভৈরব ও কুলিয়ারচর।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণকালে ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার কারণে কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার। বাকিগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণের পরই শুরু হয় গণনা। গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারগণ।
নির্বাচনের ফলাফল নিম্নরূপ:
বাজিতপুর: বাজিতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের রেজাউল হক কাজল (আনারস প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১১২ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রকিবুল হাসান শিবলী (মোটরসাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. মাসুদ মিয়া (চশমা প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খান মো. রেজাউল কবির (টিউবওয়েল প্রতীক) পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন গোলনাহার (প্রজাপতি প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৮৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফা হোসেন (কলস প্রতীক) পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭৭২ ভোট।
ভৈরব: ভৈরব উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর (কাপ পিরিচ প্রতীক)। ৯১ টি কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন
৪৮ হাজার ২০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪২৫ ভোট। সহিংসতার কারণে একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৬৩৬।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. মোশারফ হোসেন (মাইক প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৮৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউর রহমান অরুন (উড়োজাহাজ প্রতীক) পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭০২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সানজিদা ইয়াছমিন (ফুটবল প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৪১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ারা বেগম (হাঁস প্রতীক) পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৫৫ ভোট।
কুলিয়ারচর: কুলিয়ারচর উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন লিটন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সৈয়দ নূরে আলম (চশমা প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ১৭৭ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আনিছুর রহমান খাঁন (টিউবওয়েল প্রতীক) পেয়েছেন ৯ হাজার ১৫৩ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন মোছা. লিপি আক্তার (ফুটবল প্রতীক)। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রহিমা আক্তার (কলস প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৮১ ভোট।