নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণ করেছে প্রশাসন। রবিবার সকালে স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পুলিশ।
জঙ্গি হামলার ঘটনাস্থল শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে স্থাপিত নিহত কনস্টেবল জহিরুল ও কনস্টেবল আনসারুলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। এ সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পেশাল পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম. এ আফজল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মোস্তাক সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নূরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. আল আমিন হোসাইন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রাসেল, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে জঙ্গি হামলায় নিহত ঝরনা রাণী ভৌমিকের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানান তারা। জেলা মহিলা পরিষদ পৃথকভাবে নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে। এ সময় জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মায়া ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক আতিয়া হোসেন, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাছুমা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, শোলাকিয়া জঙ্গি হামলা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলার ১০১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬০ জন তাদের সাক্ষ্যপ্রদান করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে পুলিশের চেকপোস্টে জঙ্গি হামলা হয়। এতে পুলিশের কনস্টেবল জহিরুল, কনস্টেবল আনসারুল, গৃহবধূ ঝরনা রাণী ভৌমিক ও আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে অপর জঙ্গি শফিউল ইসলাম ওরফে ডনকে (২২) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় র্যাব আটক করে। পরে নান্দাইলের ডাংরী এলাকায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিনি। জঙ্গি হামলায় ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন।
মামলার মোট ২৪ আসামির মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান ১৯জন। মারা যাওয়া আসামিদের বাদ দিয়ে পুলিশ ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে।