ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন জান্নাত হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে দেওয়া আগুন দেওয়ার একদিন পর তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের লাশ উদ্ধার করেন। তবে নিহতদের কারো নাম পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। হোটেলটির মালিক ভৈরব পৌরসভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন মিন্টু।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে হোটেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল আন্দোলনকারী। এতে হোটেলটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে হোটেলটির তিনতলা থেকে দুটি ও নিচতলা থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একজন নারী, একজন পুরুষ ও একটি শিশুর লাশ রয়েছে।
হোটেলের ম্যানেজার রাকিব হোসেন বিল্লাল জানান, সোমবার বিকালে একদল আন্দোলনকারী হোটেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে হোটেলটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
উল্লেখ্য, পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর প্রচারের পর সোমবার বিকালে ভৈরবে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ভাঙচুর চালানো হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত নাজমুল হাসান পৌরপার্কে। এছাড়া ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন দর্শন সিনেমা হল ও পৌসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন মিন্টুর মালিকানাধীন জান্নাত হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম খান, সাবেক সহ সভাপতি মির্জা সুলায়মান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরমান উল্লাহ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ভাঙচুর চালানো হয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর মোমেন মিয়ার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে। ভৈরব কয়লা মোকামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অন্তত ১৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। পাড়ায় পাড়ায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা হয়েছে।