নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ভাই, বোন ও ভাতিজাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে হামলা, মারপিট, ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলাতেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ভাই অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু, ছোট বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাতিজা মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফ কামাল, হানিফ কামাল, তারেক কামালসহ পরিবারের আরো কয়েকজন সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরী নৌশাদ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু, এডভোকেট শরীফ কামাল, হানিফ কামাল ও তারেক কামালসহ ৪৭ জনের নামোল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা সদরের একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর করার অভিযোগে এর মালিক ফারহান শিকদার পরাগ বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় মিঠামইন সদর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফ কামালকে প্রধান এবং অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু, হানিফ কামাল ও তারেক কামালসহ ৪৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি সদর বাজারের ফার্মেসি সড়কের মধ্যবর্তী একটি মিষ্টির দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এলোপাতারি মারপিট ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরী নৌশাদসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় ইমরান হোসেন জেরী নৌশাদ বাদী হয়ে গত শুক্রবার মিঠামইন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে একইদিন বিকাল ৬টার দিকে মিঠামইন নতুন কাঠবাজার সংলগ্ন পাঁচপোরণ রেস্টুরেন্টে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারপিট করেন। এ ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক ফারহান শিকদার পরাগ বাদী হয়ে গত শনিবার মিঠামইন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আহসান হাবিব জানান, এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।