নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী ও বিসিবির সাবেক সভাপতি কিশোরগঞ্জ–৬ (ভৈরব–কুলিয়ারচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনসহ ১১৭ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। রবিবার কিশোরগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) ট্রাইবুনালে মামলাটি দায়ের করেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের জাহের মিয়া জাহানের ছেলে পরিবহন শ্রমিক মামুন মিয়া।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র মামলাটি আমলে নিয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআই করার আদেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই দুপুরে ট্রাকে তেল নেওয়ার জন্য স্থানীয় একটি পাম্পে যাচ্ছিলেন মামলার বাদী মামুন। শহিদুল্লাহ কায়সার পাদুকা মার্কেটের সামনে পৌঁছামাত্র আসামিরা বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শান্তি সমাবেশের নামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। নাজমুল হাসান পাপনের হুকুমে কতক আসামি শটগান ও পাইপগান দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকলে ছাত্র–জনতা দিগি¦দিক পালিয়ে জীবন রক্ষা করে। এ সময় বাদী মামুনকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী মনে করে আসামিরা দা ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার ডান হাত কেটে ফেলতে হয়।
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের এপিএস সাখাওয়াত মোল্লা, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, সহ সভাপতি মির্জা সোলায়মান, ভৈরব পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, আওয়ামী লীগ নেতা সেফাত উল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাকিব রায়হানসহ ১১৭ জন। এছাড়া ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।