নিজস্ব প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম এবং সারাদেশের কয়েকটি ইউনিভার্সিটি ব্যতীত কোথাও কোনো সমন্বয় কমিটি নেই। আমরা সকল কমিটি বিলুপ্ত করেছি। কারণ নানানজন নানাভাবে এই শব্দটিকে ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করবে। পাশাপাশি তারা আমাদের আন্দোলনকে নস্যাত করার চেষ্টা করবে। আমরা এদের বিষয়ে সতর্ক।
মঙ্গলবার বিকালে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনো তৎপর উল্লেখ করে তারা বলেন, আপনারা মনে করবেননা যে, শেখ হাসিনা চলে গেছে মানে তার লোকজন চলে গেছে। কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো তারা সক্রিয়। এই আন্দোলনে যারা আমাদের ভাই বোনকে আঘাত করেছে, অবশ্যই তাদেরকে বিচারের আওতায় আসতে হবে। একটা সন্ত্রাসীকেও আমরা ছাড়বোনা। তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকবেনা।
তারা আরো বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতাই অভ্যুত্থানের মূল নায়ক। এখানে বিভিন্নভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী জনগণ তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। এই আন্দোলনে দেশের আপামর জনগণের অংশগ্রহণ রয়েছে। শহিদদের তালিকা দেখলেই আপনারা বুঝবেন, এটা দেশের আপামর জনসাধারণের অভ্যুত্থান ছিল, কোনো দলের না।
সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক লুৎফুর রহমান, আহনাফ সাইফ খান, স্বর্ণা আক্তার রিয়া, তৌহিদ সিয়াম, সহ সমন্বয়ক আরমানুল ইসলাম ছাড়াও জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।