ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে ইকবাল (২৯) নামে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হয়েছেন। নিহত ইকবাল মৌটুপি গ্রামের সরকার বংশের ধন মিয়ার ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর মৌটুপি গ্রামের কর্তাবাড়ি বংশ ও সরকারবাড়ি বংশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপক্ষের কয়েকশত লোক লাঠি, বল্লম, টেটাসহ ইটপাটকেল নিয়ে মাঠে নামে। সংঘর্ষে কর্তাবাড়ির নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক এবং সরকারবাড়ির নেতৃত্ব দেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে সংঘর্ষ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে। সংঘর্ষে সরকারবাড়ির ইকবাল প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। সরকারবাড়ির লোকজনের দাবি, একটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি আসলে প্রতিপক্ষরা বাধা দিচ্ছিল। এ নিয়ে গত কয়েকদিন যাবত দুপক্ষের উত্তেজনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সরকারবাড়ির বংশের সাফায়েত উল্লাহ বলেন, গত ঈদের পরদিনের সংঘর্ষে কর্তাবাড়ির নাদিম নিহত হলে তাদের বংশের লোকজন আমার বংশের শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। খুনের ঘটনায় আমাদের লোকজন পলাতক ছিল দেড়মাস। এখন তারা জামিনে আসলেও তারা বাড়িঘরে উঠতে বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়।
কর্তাবাড়ির নেতা সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক বলেন, আমি বাড়িতে থাকিনা। গত ঈদের পরদিন আমার বংশের নাদিমকে সরকারবাড়ির বংশের লোকজন হত্যা করে। দীর্ঘদিনের শত্রুতা রয়েছে তাদের সঙ্গে। নাদিম হত্যার মামলায় জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালাতে কদিন যাবত চেষ্টা করছে। শুক্রবার তারা হামলা চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসমত উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।